২০১৯ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন

নিউজ লাইফ ডেস্কঃ চলতি বছরের মতো আগামী বছরও মোট ২২ দিন সরকারি ছুটি থাকবে।এর মধ্যে তিনদিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৯ সালের ছুটির এ তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি থাকবে।সাধারণ ছুটির মধ্যে তিন দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) পড়েছে।এ ছাড়া বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবসে আট দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।কোন শুক্র ও শনিবার এই ছুটি পড়েনি।এর বাইরে খসড়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জন্য ঐচ্ছিক ছুটিও নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন,২০১৮ সালে তথা চলতি বছর ২২ দিন সরকারি ছুটি ছিল,এর মধ্যে সাতদিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে।তবে আগামী বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেশিদিন ছুটি ভোগ করতে পারবেন বলেও জানান শফিউল আলম।
সাধারণ ছুটির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস,১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন,২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস,১ মে মে দিবস,১৮ মে বুদ্ধপূর্ণিমা,৩১ মে জুমাতুল বিদা,৫ জুন ঈদুল ফিতর,১২ আগস্ট ঈদুল আজহা,১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস,২৩ আগস্ট শুভ জন্মাষ্টমী,৮ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী),১০ নভেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
নির্বাহী আদেশে ছুটির কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, নির্বাহী আদেশে ছুটি হলো ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ,২১ এপ্রিল শবেবরাত,২ জুন শবে কদর,৪ ও ৬ জুন ঈদুল ফিতরের আগের ও পরের দিন,১১ ও ১৩ আগস্ট ঈদুল আজহার আগের ও পরের দিন এবং ১০ সেপ্টেম্বর আশুরার দিন।
তাছাড়া ঐচ্ছিক ছুটি হলো (মুসলিম পর্ব) ৪ এপ্রিল শবে মেরাজ,৭ জুন ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন,১৪ আগস্ট ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন,২৩ অক্টোবর আখেরি চাহার সোম্বা এবং ৯ ডিসেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।হিন্দু পর্বের ঐচ্ছিক ছুটির দিনগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১০ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পূজা,৪ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত,২১ মার্চ দোলযাত্রা,৩ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব,২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়া,৭ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী),১৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ২৭ অক্টোবর শ্যামাপূজা বলেও জানান সচিব।
তিনি আরো জানান,১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ,৬ মার্চ ভস্ম বুধবার,১৮ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার,১৯ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার,২০ এপ্রিল পুণ্য শনিবার,২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন) হচ্ছে খ্রিস্টান পর্বের ঐচ্ছিক ছুটি।তাছাড়া ঐচ্ছিক ছুটির (বৌদ্ধ পর্ব) মধ্যে রয়েছে ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা,১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ১৬ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা,১৩ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ১৩ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে ১২ ও ১৫ এপ্রিল।বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে গণ্য হবে বলেও জানান সচিব।
More News from বাংলাদেশ
-
বাংলাদেশকে টিকাদানসহ নানা কর্মসূচিতে মোট ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে আইডিএ
-
-
নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ছিল প্রশ্নবিদ্ধ সরকারের নৈতিক পরাজয়
-
রাজধানীর থানা গুলোতে বাঙ্কার তৈরী : সার্বক্ষণিক মেশিনগান প্রহরা
-