
প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বিচার চলাকালে রশিদ বৃহস্পতিবার দোষ স্বীকার করেন। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী ২৮ জুন তার সাজা ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটিশ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স জর্জ গত বছর অক্টোবরে দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের বিয়াত্রিসা থমাস স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরই তাকে হত্যার টার্গেট করার আহ্বান জানিয়েছিলেন রশিদ।
সে সময় আইএস এর এক টেলিগ্রাম মেসেজিং সার্ভিসে স্কুলের সামনে প্রিন্স জর্জের ছবির ওপর ডানপাশে মুখোশ পরা দুই জিহাদির মুখ বসিয়ে একটি ছবি প্রকাশ করেন রশিদ। এরপর স্কুলের পূর্ণ ঠিকানা দিয়ে একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “এমনকি রাজপরিবারকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। স্কুল আগেভাগেই শুরু হল।”
আইসক্রিমে বিষ প্রয়োগ এবং ফুটবল স্টেডিয়ামে হামলা করতেও রশিদ তার সমর্থকদের উৎসাহিত করেছিলেন। এমনকি নিজের একটি অনলাইন ম্যাগাজিন বের করে ‘লোন উলফ’ হামলার টিপস দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তার।
রশিদ প্রথম থেকে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও পরে উলউইচ ক্রাউন কোর্টে বিচারের সময় হঠাৎ করেই দোষ স্বীকার করেন।
তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রস্তুতি নেওয়া, সন্ত্রাসে উৎসাহ দেওয়া, সন্ত্রাস সম্পর্কিত প্রকশনার বিস্তার ঘটানোর মতো আরো কয়েকটি অভিযোগ আছে। এ অভিযোগগুলোও রশিদ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বেকার ওয়েব ডিজাইনার হাসনাইন রাশিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সিরিয়ার এক আইএস কর্মীর। তারা বিস্ফোরক তৈরি এবং গুলি করে বিমান ভূপাতিত করার মত বিষয়গুলো নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান করতেন।
আইএস-এ যোগ দিতে রশিদ সিরিয়াও যেতে চেয়েছিলেন। গত বছর নভ্ম্বেরে ইংল্যান্ডে নিজ বাসা থেকে তিনি গ্রেফতার হন।
কৃতজ্ঞতা :: বিডিনিউজ২৪.কম