সাংবাদিকদের প্রশ্নে খেই হারিয়ে ফেলায় সচিব-ইসির বক্তব্যে অমিল

নিউস লাইফ ডেস্ক :: সাংবাদিকদের প্রশ্নে খেই হারিয়ে ফেলায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ইসি সচিবালয়ের বক্তব্যে মিল থাকছে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার দুপুরে তিন সিটি ও স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব হেলালু্দ্দীন আহমদের বক্তব্যের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য মিল না থাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেন। আপনারা পেশাদার সাংবাদিক। আমরা তো আপনাদের মতো পেশাদার না।
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দাবির প্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করে সেখানে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগের বিষয়টি যোগ করে ইসি।
মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। অন্যান্য সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। এমন বিধান যুক্ত করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে।
এর আগে ২৪ মে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচনী প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু সংসদ সদস্য পদ লাভজনক নয়। তাই তাদের নাম অতি গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। সকল সংসদ সদস্যই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণা চালাতে পারবেন। তবে তারা সরকারি সার্কিট হাউজ ব্যবহার করতে পারবেন না, এমন প্রস্তাব করা হয়েছে।
সচিবের দেওয়া বক্তব্যের কথা সিইসিকে মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, আমি যেটা বলছি সেটাই সঠিক। সিটি করপোরেশন এলাকায় যিনি সংসদ সদস্য তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তিনি শুধু তার ভোট দিতে পারবেন।
এছাড়া, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে সেখানে দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনলে তাকে সহযোগিতা করার জন্য যুগ্ম-সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে বলে সেদিনই (৯ মে) জানান ইসি সচিব।
তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি (খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা) সঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। তাই তার কাজে সহযোগিতা করার জন্য ইসির একজন যুগ্ম-সচিবকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য আরেকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেয়া হলে তার দায়িত্ব পালনে কোনো সমস্যা হবে কি না বা কমিশন এটা পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেছিলেন, ‘কমিশন চাইলে যে কোনো সময় এটা পারে। প্রয়োজনে সেখানে আমি যেতে পারি বা চাইলে কোনো নির্বাচন কমিশনারও যেতে পারেন।’
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি এমন নয়। সেখানে আমাদের নিজস্ব ২২ জন কর্মকর্তা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তাদেরকে মনিটনিং করার জন্য তাকে (একজন যুগ্ম-সচিব) পাঠানো হয়েছিল। এটা কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়ও করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে কাউকে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সচিবের বক্তব্য তুলে ধরলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেন। আপনারা পেশাদার সাংবাদিক। আমরা তো আপনাদের মতো পেশাদার না।
More News from বাংলাদেশ
-
সরকার বিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ছাড় দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
-
অর্থমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
-
বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিল অপূর্ণ : আমু
-
-