সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির

ইউএনএন বিডি নিউজঃ আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাত দিন আগে দুই সিটিতে আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলীয়করণের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আওয়ামী লীগ যেভাবে নষ্ট করে ফেলছে তাতে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরাও বলেছেন, দলীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। তাই নির্বাচনের সাত দিন আগে দুই সিটিতে সেনা মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাচন কমিশনের সচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার ভূমিকা হতে হবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর মতো, কোন দলীয় ক্যাডারের মতো নয়। ইসির সচিবের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে তিনি আওয়ামী লীগের পদহীন ক্যাডারের ভূমিকা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করছেন।
নির্বাচন কমিশন দুই সিটিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন পর্যন্ত দুই সিটিতে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি ইসি। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও দুই সিটিতে ক্ষমতাসীনদের বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ছড়াছড়ি। সন্ত্রাসীরা এলাকায় এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কালো টাকার ছড়ানোর অভিযোগ করলেও এবং প্রতিনিয়ত আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ইসিতে জমা দিলেও নির্বাচন কমিশন অন্ধের ভূমিকা পালন করছে।
বিএনপির এ মুখপাত্র আরও বলেন, গতকাল গাজীপুরের মৌচাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল সাহেবের সভাপতিত্বে এক নির্বাচনী যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, আহমদ হোসেন এমপি এবং গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীরকে বিজয়ী করতে আহবান জানান। যা সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।
গাজীপুরের পুলিশ এখন ভয়ঙ্কর আতঙ্কের নাম মন্তব্য করে বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই আতঙ্কের মহানায়ক হচ্ছে এসপি হারুন। যার হাতে বিরোধী দলের এমপি থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মী পর্যন্ত নিপীড়ন নির্যাতন ও আর্থিক শোষণের শিকার হয়েছে বারবার। তার দাপটে গাজীপুরে সাধারণ নিরীহ মানুষরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বিরোধী দলের তরুণ কর্মীরা কেউ গাজীপুরে অবস্থান করতে পারে না। গাজীপুরের এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম এসপি হারুন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথার যেন শেষ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারেক রহমানকে নিয়ে তাদের অন্তহীন ষড়যন্ত্র বারবার ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নানা অপপ্রচারের জন্য সেল খোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন উপ-প্রেস সচিবের ফেসবুক আইডিতে নানা মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প বানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। এই ধরণের অপপ্রচার নিম্নরুচির পরিচায়ক।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, তৈমুর আলম খন্দকার, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
More News from বাংলাদেশ
-
একজন সিরাজুল আলম খান : শেখ মুজিবুর রহমানকে মহানায়ক বানানোর কারিগর
-
সরকার বিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ছাড় দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
-
অর্থমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
-
বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিল অপূর্ণ : আমু
-