স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে সরকারের পদত্যাগ চাইলেন ফখরুল

ইউএনএন বিডি নিউজঃ স্বাধীনতা দিবসের র্যালির উদ্বোধন করতে গিয়ে অবিলম্বে দলের চেয়ারপারসসহ রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে তিনি সংসদ ভেঙে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিও জানান। অন্যথায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে র্যালি বের করে বিএনপি। কার্যালয়ের সামনে খোলা ট্রাকে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে মহান স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়। পরে নির্ধারিত সময় বেলা দুইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে র্যালি শুরু হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে। এদেশের মানুষ শান্তি চায়, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়াকে মুক্ত করে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের জনগণকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘৪৭ বছর পর অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা স্বাধীনতা দিবস পালন করছি। যে চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সরকার সেই চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের জন্য একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। এই হবে আজকে দিনে আমাদের শপথ।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আজ মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করবার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তারা সারাদেশে খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন করে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করি, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করি, তাদের শপথ নিতে হবে খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসন থেকে ফিরে আনার। যেসব নেতাকর্মী যারা কারাগারে আছেন, তাদের মুক্তির জন্য, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবার জন্য সোচ্চার দাবি তুলবো। আন্দোলন সংগ্রাম করে যাবো।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এদেশের মানুষ শান্তি চায়, তাদের অধিকার ফিরে পেতে চায়, গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে চায়। খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। শত শত রাজবন্দি আছে, তাদেরও মুক্তি দিতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
More News from বাংলাদেশ
-
একজন সিরাজুল আলম খান : শেখ মুজিবুর রহমানকে মহানায়ক বানানোর কারিগর
-
সরকার বিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ছাড় দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
-
অর্থমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
-
বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিল অপূর্ণ : আমু
-