জনগণের টাকা আত্মসাৎকে উন্নয়ন বলছে সরকার: রিজভী

ইউএনএন বিডি নিউজঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ, সুশাসন আওয়ামী চাকায় পিষ্ট। এই গণতন্ত্রহীন দেশে লুটপাটের নামে জনগণের টাকা আত্মসাৎকে তারা উন্নয়ন বলছে।উন্নয়নের নামে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন এ বিএনপি নেতা।তার অভিযোগ, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে জিয়া শিশুপার্কের নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় খরচে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন, নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীদের যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব হচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এসব দেখেও না দেখার ভান করে বরং সরকারকে সহযোগিতা করছে।স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিরও সমালোচনা করেন রিজভী।তিনি বলেন, সরকারের আজকের কর্মসূচি এক বিকৃত তামাশা। গোটা ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট অচল হয়ে গেছে। জনজীবন হয়ে গেছে সম্পূর্ণভাবে স্থবির। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় আটকা পড়ে আছে।সরকার বলছে- জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কোনো কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না। অথচ উল্টো সরকারই জনদুর্ভোগ সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সত্যি আমরা আজব দেশে বাস করছি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।রিজভী বলেন, আবারও ৫ জানুয়ারির মতো প্রহসনের নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কারাবন্দি রেখে বিএনপিবিহীন নির্বাচন দেশে কোনো নির্বাচনই অনুষ্ঠিত হবে না।দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন করতে সরকার বাধ্য হবে। সব চক্রান্ত ও নীলনকশা জনগণের সম্মিলিত শক্তির অভিযাত্রায় প্রতিহত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
More News from বাংলাদেশ
-
সরকার বিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ছাড় দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
-
অর্থমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
-
বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিল অপূর্ণ : আমু
-
-