আইনি পরামর্শের জন্যই ড. কামালের কাছে গিয়েছিলাম: মির্জা ফখরুল

ইউএনএন বিডি নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি পরামর্শের জন্যই আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের কাছে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের এ প্রবীণ আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিষয়টি নিয়ে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেছে। যা কাম্য নয়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশে একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যাপারে আইনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য আমরা বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণফোরাম সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের কাছে গিয়েছিলাম।
আমার সঙ্গে নেত্রীর প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজাক খান ও তার সহযোগী আমিনুল ইসলাম ছিলেন। রেজাক খান মামলা নিয়ে ব্রিফ করেছেন। এবং রায়ের ৬ শ ৩৪ পৃষ্টার ভলিউলও তাকে দেওয়া হয়েছে। তিনি (কামাল হোসেন) আমাদের বলেছেন, রায়ের কপি স্টাডি করে তার মন্তব্য জানাবেন এবং পরামর্শ দেবেন। ‘অথচ মুষ্ঠিমেয় কিছু সাংবাদিক বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন। তারা এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কিংবা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলারও প্রয়োজনবোধ করেননি।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো, এ ধরনের বিষয়ে জানতে আমার কিংবা দলের যে কারো সঙ্গে কথা বলবেন।
ফখরুল বলেন, একটা পত্রিকায় বড় করে দিয়েছেন যে, ‘ড. কামাল প্রত্যাখ্যান করেছেন।’ এটা তো ঠিক না। সেজন্য বাধ্য হয়ে রাতে প্রেস রিলিজ দিতে হয়েছে। এতে তাকেও তো ছোট করা হয়েছে। উনি যেটা করেন নি, সেটা সম্পর্কে বলা হয়েছে। উনি আগ্রহের সঙ্গে সব কথা শুনেছেন। এবং উম্মা প্রকাশ করেছেন। এ ধরনের একটা মামলায় সাজা দেওয়াকে তিনি কখনোই পছন্দ করেন নি। তিনি বলেছেন, রায়ের কপি পড়ে তিনি তার মতামত জানাবেন।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ দফতর সম্পাদক বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
More News from বাংলাদেশ
-
একজন সিরাজুল আলম খান : শেখ মুজিবুর রহমানকে মহানায়ক বানানোর কারিগর
-
সরকার বিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ছাড় দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
-
অর্থমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
-
বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিল অপূর্ণ : আমু
-