বিএনপির অভিযোগ ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার হচ্ছে’

ইউএনএন বিডি নিউজঃ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করেও ষড়যন্ত্রকারীদের তৃষ্ণা মিটছে না। তাই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে লেগেছে। এখন জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।’
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী- কন্যা যুক্তরাজ্যে স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করেছে বলে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমান ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি অনলাইনের বরাতে দেশের পরিচিত সংবাদ মাধ্যম এমন তথ্য দেওয়ায় আমরা হতবাক। আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
রিজভী বলেন, ‘এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় বর্তমান সরকার শুধু বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েও সন্তুষ্ট হতে পারেনি। এখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা নতুব চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে যাতে মানুষের সামনে জিয়া পরিবারকে হেয় করতে পারে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারক ড. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিকৃত করেছে সরকারপ্রধানের ইচ্ছায়। তিনি নিজের পদোন্নতি নিশ্চিত করতেই খালেদা জিয়ার বক্তব্য পাল্টে দিয়েছেন। তিনি এর মাধ্যমে নিজের বিচারিক পেশার সাথেই প্রতারণা করেছেন।’
আগামীকালের সমাবেশের বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। তারা বলেছে আমাদের সভা সমাবেশে বাধা দিবে না। কিন্তু আমরা সমাবেশের অনুমতি চাওয়ার পর এখনো পুলিশ আমাদের সেই অনুমতি দেয়নি। এটা সরকারের প্রতিহিংসার অংশ। আমরা সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করব।’
সংবাদ সম্মেলনেউপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
More News from বাংলাদেশ
-
একজন সিরাজুল আলম খান : শেখ মুজিবুর রহমানকে মহানায়ক বানানোর কারিগর
-
সরকার বিরোধী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের ছাড় দেয়া হবে না : ওবায়দুল কাদের
-
অর্থমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন : বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি
-
বঙ্গবন্ধুবিহীন স্বাধীনতার স্বাদ বাঙালির কাছে ছিল অপূর্ণ : আমু
-