নাইকো মামলা : খালেদা জিয়াকে হাজিরের নির্দেশ

ইউএনএন বিডি নিউজঃ নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। ওই দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকেও হাজির হতে বলেছেন আদালত।
আজ সোমবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ জজ ৯-এর বিচারক মাহমুদুল কবিরের আদালতে খালেদা জিয়া ও মওদুদ আহমদের পক্ষে সময় আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। পরে আদালত ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ গঠনের শুনানি মুলতবি করে ওই দিন দুজনকেই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।পরে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করেন আদালত। অবশ্য এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।
More News from বাংলাদেশ
-
-
করোনা মহামারিতে শ্রমজীবী মানুষের সহায়তা নিশ্চিত করুন : সিপিবি
-
-
বগুড়ায় মজুত ফুরিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ
-
শত শত ব্যক্তি প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে রোগী ভর্তি করাতে পারছেন না